কোথায় ৫০০০০ টাকা বিনিয়োগ করলে টাকা বাড়ানো যায়?
বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তি যুগে টাকা আয় করা যেমন কঠিন আবার অনেক সোজাও। ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে ৫০০০০ টাকা অনেক টাকা। এখন আমি একটা আয় করার অসাধারণ উপায় বলবো যার মাধ্যমে আপনি আপনার ইনভেস্টের ১০ থেকে ১৫ গুন পর্যন্ত লাভ করতে পারেন। সেটা হচ্ছে "Cloud Mining" অন্যান্য দেশে ক্লাউড মাইনিং অত্যন্ত জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশে অনেকে ক্লাউড মাইনিং সম্পর্কে কিছুই জানে না।
ক্লাউড মাইনিং কি?
ক্লাউড মাইনিং হল ভাড়া করা ক্লাউড কম্পিউটিং শক্তি ব্যবহার করে বিটকয়েনের মতো ক্রিপ্টোকারেন্সি খননের একটি পদ্ধতি , প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সরাসরি ডাউনলোড বা পরিচালনা করার তুলনায়। গ্রাহককে শুধুমাত্র নিবন্ধন করতে হবে এবং খনির চুক্তি বা শেয়ার কিনতে হয়।
কথাটা অনেক সহজভাবে বলে দিলাম কিন্তু আসলে ব্যাখ্যা করে বলতে গেলে সারাদিন লেখা শেষ করতে পারবো না।
বর্তমানে অত্যন্ত লাভজনক কিন্তু এখানে একটু ঝুঁকিও আছে আপনাকে অবশ্যই বিশ্বস্ত ক্লাউড মাইনিং কোম্পানির কাছ থেকে প্যাকেজ কিনতে হবে। না হলে আপনার টাকা মেরে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই সাবধান থাকবেন।
আমি কয়েকটি বিশ্বস্ত মাইনিং কোম্পানির নাম সাজেস্ট করতে পারি:
> IVORY HASH : "IVORY HASH" একটি বিশ্বস্ত বিটকয়েন মাইনিং প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে এর একটিভ মেম্বার 1,34,606 । আপনারা জানলে খুশি হবেন যে বর্তমানে এটাতে একটা অফার চলছে পরবর্তী ১৮ দিনের মধ্যে যারা এখানে একাউন্ট খুলবে তারা ফ্রিতে 5 TH/s মাইনিং পাওয়ার সম্পন্ন একটি প্যাকেজ পাবেন। এর মাধ্যমে আপনার পঞ্চাশ হাজার টাকা লাখ টাকায় পৌঁছানো কোন ব্যাপারই না । বলে রাখা ভালো ক্রিপটো মাইনিং কোন বেআইনি জিনিস নয়।
> Binence : যদিও BlNANCE একটি মানি ট্রান্সফার কোম্পানি কিন্তু এটি বর্তমানে মাইনিং প্যাকেজ বিক্রি করে থাকে এটিও অত্যন্ত একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম। যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন অথবা ইন্টার সম্পর্কে ভালো জানেন তারা BINANCE অবশ্যই চিনবেন। Binance Link
বি দ্রঃ আপনাকে অবশ্যই প্রথমে অনলাইন পেমেন্ট করার মত ডেবিট কার্ড অথবা ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে। কারণ যেহেতু এটা অনলাইন প্লাটফর্ম তাই এখানে বিটকয়েন এবং ডলার হিসাব করে।
আর বেশি কিছু লিখলাম না কারণ বেশি লিখলে আপনার বিরক্ত হবেন। যদি আপনি ডিটেলস জানতে চান তাহলে আমাকে জানাতে পারেন। আমি যদি ফ্রি থাকি তাহলে আপনাকে সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
মিউচ্যুৱেল ফাণ্ড এ ইনভেস্ট কব়েন নাকি কব়বেন ভাবছেন ?
আজকাল চকব়ি বা ছুট্ট ব্যবসা কব়া দুইজন সামনাসামনি হলেই জিজ্ঞাসা কব়ে যে আপনি মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডেব় ইউনিট কিনছেন নাকি । আজ কাল বেংকে টাকা জমা ব়কলে বছব়ি ৬ থেকে ৮ শতাংস সুদ দেয় ।
আজ কাল শ্বেয়াব় মাৰ্কেটে ইনভেস্ট কব়াব় আগে মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডেব় ইউনিট কিনতে চায় । মিউচ্যুৱেল ফাণ্ড শ্বেয়াব় মাৰ্কেটেব় সমান উত্তাল নয় । কাব়ন মিউচ্যুৱাল ফাণ্ডেব় টাকা দিয়ে শ্বেয়াব় কিনা বেচা কব়ে ফাণ্ড মেনেজাব়ব়া । ফাণ্ড মেনেজাব়ব়া শ্বেয়াব় মাৰ্কেটেব় ওপব় অনেক এক্সপাৰ্ট ।
সময় অনুসাব়ে শ্বেয়াব় মাৰ্কেটেব় ওপব় গৱেষনা কব়ে তাব় পব় শ্বেয়াব় কিনা বেচা কব়ে । সেই জন্য শ্বেয়াব় মাৰ্কেটে বব় ক্ষতি দলেও মেনেজাব়ব়া নিজেব় ফাণ্ড ক্ষতি হতে দেয়না । শ্বেয়াব় মাৰ্কেটেব় ছেনছেক্স বা নিফটি ১০ গুণ হলে মিউচ্যুৱাল ফাণ্ডেব় আয় ১৫ থেকে ১৮ গুণ বেব়ে যায় । আব় শ্বেয়াব় মাৰ্কেটে ৮ শতাংশ কমলে মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে ৪ শতাংশ কমে ।
মিউচ্যুৱেল উাণ্ড কি ?
মিউচ্যুৱাল ফাণ্ড হল একটি বিত্তিয় সংস্তা । যাব় দ্ধাব়া সাধাব়ন জণগণ শ্বেয়াব় মাৰ্কেটে ইনভেস্ট কব়তে পাব়ে । এই ফাণ্ডে ২ ৩ ভাগ টাকা আপনাব় কাছ থেকে নিবে এবং এই টাকা টা ব়িতিমত ভাবে এছেট মেনেজমেন্ট গ্ৰোপ এ নিবে তাব় পব় ম্যাসব়ক্ষি ট্ৰাস্ট কে দয়িত্ব দিবে । সময়ে সময়ে মিউচ্যুৱেল ফাণ্ড গুলো অন্যান্য বিনিয়োগ আচনিতে বিক্ৰি কব়ে দেয় এই সময় মূল্য হয় ১০ টাকা ।
ফাণ্ডে শ্বেয়াব় মাৰ্কেটে টাকা ইনভেস্ট কব়ে লাভ হলে নেভ ব়াব়ে এবং লোকচান হইলে নেভ কমে । প্ৰতিটা মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডেব় ইউনিট নেভেব় দাম অনুসাব়ে আপনি কিনা বেচা কব়তে পাব়বেন । ভাল ভাল মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডেব় বছব়ি আয় অনেক ভাল হয় অৰ্থাত ১০০ ভাগও বয় এবং কোনো সময়ে ১ শতাংশও হয় না ।
২০০৩ সালে ভাল ভাল মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে লাভ কব়া থেকে ৭০ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ লাভ দিয়েছিল । ঠিক তেমন ভাবে ২০০১ এবং ২০০২ সালে একেবাব়ে লাভ দিতে পাব়ছিল না । ২০০৩ এবং ২০০৪ সালে এইছ এছ বি চি মিউচ্যুৱেল ইকুইটি ফাণ্ডে ৮০ শতাংশ লাভ দিয়েছিলেন কাস্টমাব়কে ।
মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে প্ৰতিবছব়ে অধিক লাভাংশ সৰ্বদায় দিতে পাব়ে নাকি ?
ফাণ্ডে প্ৰতি বছব়ে যে লাভ দিতেই থাকবে তাব় কোনো নিশ্চয়তা নাই । কয়েক বছব় এক সাথে লাভ দেওৱাব় পব় কোনো এক বছব়ে লাভ দিতেও না পাব়ে । এমন কিছু ফাণ্ড আছে যা নাকি কাস্টমাব়কে খুব কম সংখ্যক লাভ দেয় । গতিকে মিউচ্যুৱেল উাণ্ডেব় ইউনিট কিনাব় আগে এক্সপাৰ্টদেব় থেকে পব়ামৰ্শ নিয়ে নিবেন । সব ফাণ্ড এক নয় ।
কোনব়কমেব় লোক ফাণ্ডে ইনভেস্ট কব়াটা ঠিক হবে ?
মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে তিন ধব়ণেব় ইনভেস্ট পদ্ধতি ব়য়েছে । ১) ইকুইটি নিৰ্ভব়, ২)ডেট নিৰ্ভব় আব় ৩)নগদ নিৰ্ভব় । প্ৰথম পদ্ধতিতে ইনভেস্ট কব়লে বাসি লোকসানেব় সম্ভাবনা বা ব়িস্ক থাকে । দ্ধিতীয়টাতে ব়িস্ক মোটামোটি এবং তৃতীয়টাতে লোকসান প্ৰায় নাই বলতেই পাব়ি । ১০ ২০ বছব় যাব়া ইনভেস্ট কব়তে পাব়বেন তাব়া মূলধনেব় ৫০ শতাংশ ধন ইকুইটি নিৰ্ভব় ফাণ্ডে বিনিয়োগ কব়তে পাব়েন । বয়স্ক লোকেব়া দ্ধিতীয় বা তৃতীয় পদ্ধতিতে ইনভেস্ট কব়তে পাব়েন ।
কাব়া মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে ইনভেস্ট কব়তে লাগে ?
ইকুইটি নিৰ্ভব় ফাণ্ডত সাধাব়নত যুৱক ব়া ইনভেস্ট কব়াটা ভাল যদি তাদেব় ঝুকি নেওৱাব় ক্ষমতা আছে ।এই ফাণ্ডে Systematic Investment Plan এব় মাধ্যমে । সম্পূৰ্ণ ধন একবব়েই ইনভেস্ট না কব়ে লাহে লাহে নিৰ্ধাব়িত সময়ে ইনভেস্ট কব়তে হবে । এইব়কম ভাবে ইনভেস্ট কব়লে শ্বেয়াব় মাৰ্কেট কম বাসি হলেও ক্ষতি হবেনা ।
HDFC TAXSAVER এ মাসে ১০০০ টাকা ইনভেস্ট কব়ে বছব়ি ৪৩.৯৪ শতাংশ এবং ৩ বছব়ে ৬৯.৬৩ শতাংশ লাভ কব়তে পাব়ে । ৪৫ বছব় বয়সেব় কম লোকে এক্সপাৰ্টদেব় পব়ামৰ্শ নিয়ে ইনভেস্ট কব়বেন ।
অল্প ব্যবসায় ধন না ইনভেস্ট কব়ে ফাণ্ডে ইনভেস্ট কব়াটা কি ঠিক হবে ?
আমি অনব়ুধ কব়ব এইব়কম কাজ ভুলেও কব়বেন না । প্ৰথমে অল্প ব্যবসা কব়বেন তাব়পব় টাকা হলে মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে ইনভেস্ট কব়বেন । বৰ্তমান ডেট ফাণ্ডে লাভ খুব কম ।
৫ ৬ মাসেব় ওপব়েও ইনভেস্ট কব়তে পাব়েন এইব়কম পব়িমান ধন থাকলে কি মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে ইনভেস্ট কব়তে পাব়ব ?
আমি বলব যে যাব়া ৩ বছব়েব় বেসি ইনভেস্ট কব়তে না পাব়েন তাব়া মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে না যাওৱাটাই ভাল । কম সময়েব় জন্য ইনভেস্ট কব়াটা বিপদজনক । কাব়ন শ্বেয়াব় মাৰ্কেট হঠাত নিন্ম হয়ে যাই তা ঠিক নাই । সাৱধানেব় সব়ণ নাই অনুসব়ন কব়ে কমপক্ষে ৩ বছব়েব় কাব়নে ইনভেস্ট কব়ে ব়াখাটাই ভাল ।
অৱশ্যই মিউচ্যুৱেল ফাণ্ডে ইনভেস্ট কব়বেন কিন্তু চিন্তা ভাবনা কব়ে তাব় পব় । জীবনে হাসি মুখে থাকতে হলে প্ৰথমে ভেবে চিন্তে বেংকে টাকা জমা কব়ে লাহে লাহে নিৰ্ধাব়িত সময়ে প্ৰতি মাসে ইনভেস্ট কব়বেন । পৰ্তি মাসে ১০০ টাকা জমা কব়লে ৫ বছব় পব় ১৭৩২৫ টাকা পেতে পাব়েন ।
মিউচুয়াল ফান্ডেব় প্ৰকাব়
ইক্যুইটি ফান্ড: এই ফাণ্ডে প্রাথমিকভাবে কোম্পানিদেব় স্টক এবং শেয়ারগুলিতে ইনভেষ্ট করে এবং স্টক ফান্ড হিসাবেও পরিচিত। তাদের দীর্ঘমেয়াদে হাই রিটার্ন জেনারেট করার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে উচ্চ স্তরের ঝুঁকিও বহন করে।
ডেব্ট ফাণ্ড: এই ফাণ্ডে প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট আয়ের সিকিউরিটি যেমন বন্ড, ডিবেঞ্চার এবং সরকারি সিকিউরিটিগুলিতে বিনিয়োগ করে। ইক্যুইটি ফান্ডের তুলনায় তাদের ঝুঁকি কম ব়য়েছে, তবে কম সম্ভাব্য রিটার্নও থাকে।
বেলেন্স ফাণ্ড: ঝুঁকি এবং রিটার্নের মধ্যে ভারসাম্য প্রদানের লক্ষ্যে এই তহবিলগুলি ইক্যুইটি এবং ঋণ সিকিউরিটিগুলির মিশ্রণে বিনিয়োগ করে। এগুলি হাইব্রিড ফান্ড নামেও পরিচিত।
মানি মার্কেট ফান্ড: এই ফাণ্ডে ট্রেজারি বিল, বাণিজ্যিক কাগজপত্র এবং জমার শংসাপত্রের মতো স্বল্প-মেয়াদী ঋণ সিকিউরিটিগুলিতে বিনিয়োগ করে। সমস্ত মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তাদের ঝুঁকির সর্বনিম্ন স্তর রয়েছে, তবে কম সম্ভাব্য রিটার্নও রয়েছে।
স্পেচিয়েলাইজড ফাণ্ড: এই ফাণ্ডেব় মধ্যে রয়েছে সেক্টর ফান্ড, থিম-ভিত্তিক ফাণ্ড, আন্তর্জাতিক ফাণ্ড এবং সূচক ফাণ্ড।
ট্যাক্স সেভিং ফান্ড: ইক্যুইটি-লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ELSS) এবং ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS) হল ট্যাক্স সেভিং মিউচুয়াল ফান্ড।
মিউচুয়াল ফান্ড কি সৰ্ব্বোত্তম ?
কোন মিউচুয়াল ফান্ড সেরা তা বলা কঠিন, কারণ একজন ব্যক্তির জন্য মিউচুয়াল ফান্ড সেব়া হতে পাব়ে । অন্য ব্যক্তির জন্য সেরা নাও হতে পারে। আপনার জন্য সেরা মিউচুয়াল ফান্ড নির্ভর করবে আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্য, ঝুঁকি সহনশীলতা এবং সময় দিগন্তের উপর।
আপনার সমস্ত অর্থ একটি মিউচুয়াল ফান্ডে রাখার পরিবর্তে স্টক, বন্ড মতো বিভিন্ন সম্পদের মিশ্রণে বিনিয়োগ করে আপনার পোর্টফোলিওতে বৈচিত্র্য আনার সুপারিশ করা হয়।
মিউচুয়াল ফান্ড নির্বাচন করার সময়, ফান্ডের ঐতিহাসিক কার্যক্ষমতা, ফি এবং ফাণ্ড পরিচালকদের দক্ষতা এবং ট্র্যাক রেকর্ড বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটাও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে অতীতের কর্মক্ষমতা ভবিষ্যতের কর্মক্ষমতার সাথে এক নয়।
বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আপনার নিজের গবেষণা করা এবং একজন আর্থিক উপদেষ্টার সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। তারা আপনাকে উপলব্ধ বিভিন্ন ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড বুঝতে সাহায্য করতে পারে এবং আপনার ব্যক্তিগত আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকি সহনশীলতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিকল্পগুলির সুপারিশ করতে পারে।
Tags
Online Earning