৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়?

৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়?

৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিভাবে প্রতিদিন ১ হাজার টাকা উপার্জন করা যায়?



মেশিনের কফির দোকান দিতে পারেন । একটা কফির মেশিনের দাম ১৫-২০ হাজার হতে পারে । পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের চা রাখতে পারেন - মাল্টা চা , মালাই চা , হরলিক্স চা , কফি চা ,তুলসি চা ইত্যাদি । তেলে ভাজা বিভিন্ন খাবার রাখতে পারেন । তবে পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে ,দাম রাখতে হবে নাগালের মধ্যে ,আড্ডা দেয়ার মত জায়গা থাকবে ।

এক্ষেত্রে আপনি মাছের ব্যবসা করতে পারেন, তুলনামূলক কম পুঁজিতে বেশ লাভজনক ব্যবসা। প্রতিদিন ৫-৬হাজার টাকার মাছ কিনলে ৭-৮হাজার টাকায় বিক্রি করা কোন ব্যাপারই না যদি আপনি বেচতে জানেন।

এছাড়া আপনি ছেঁড়া নোটের ব্যবসা করতে পারেন এই টাকায়। শুনতে হাস্যকর শুনালেও আমার পরিচিত একজন এই ব্যবসা করে প্রতিদিন হাজার টাকার বেশি কামায়। বলতে গেলে সে কিছুই করে না, বিকেল বেলা বাজারে যায়। তার গ্রামের আশেপাশের দুতিন গ্রামের বাজারের একেকটায় একেকদিন যায়। সেখানকার মানুষের থেকে ছেঁড়া নোট সংগ্রহ করে, ৫০০টাকার নোট ২৫০,৩০০,৩৫০এরকম দামে ক্রয় করে। তারপর সেটা ব্যাংক থেকে খুব অল্প টাকা গচ্চা দিয়ে পরিবর্তন করে আনে।

এখন সারা বছর মশার যে উপদ্রব এবং মশার কয়েলের যা চাহিদা তাই আপনি কোনো মেশিনারিজ সপ থেকে (যেমনঃ ইউটিউবে MS মেশিনারিজ থেকে) কয়েল বানানোর মেশিন ও কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজস্ব কারখানায় কয়েল তৈরী করুন। আর চার জন মিলে বিভিন্ন দোকানে মার্কেটিং করুন। নিজের একটি প্রতিষ্ঠানও দাড়িয়ে যাবে পাশাপাশি আপনার দৈনিক ১০০০ টাকা।

দুইভাবে ব্যবসা করা যেতে পারেঃ১) আপনার বিশেষ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে। ২) শুধু শ্রমকে কাজে লাগিয়ে, তবে মেধা দুই যায়গাতেই লাগবে।

১) দক্ষতা কেন্দ্রিক ব্যবসাঃ পথ খাবারের (street food) দোকান,এটা স্থানকেন্দ্রিক ও দক্ষতা নির্ভর কাজ, তবে লাভ আছে। আপনার এই বিনিয়োগে রান্নার কাজ আপনাকেই করতে হবে। গ্রাহকদের চাহিদা বুঝতে হবে এবং নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে কেন গ্রাহক আপনার খাবার খাবে?

২) শ্রমভিত্তিক ব্যবসাঃ মৌসুমী ফল, কিংবা মাছ- তরকারির ব্যবসা। একাজে facebookকে ব্যবহার করতে পারেন। তবে এখানেও একই প্রশ্ন, কেন গ্রাহক আপনার পন্য কিনবে?

অনলাইন ব্যবসা শুরু করলে আপনি প্রতিদিন ১ হাজার টাকা ইনকাম করতে না পারলে ও,,মাসে আরও বেশি আয় করতে পারেন।

আপনি যদি বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে থাকেন, আর আপনার যদি কোনো এক্সপোর্ট এজেন্ট অথবা কোনো ক্ষুদ্র ব্যবসা থাকে, যা রপ্তানি যোগ্য। তাহলে আপনি চাইলে বাংলা এক্সপোর্ট এর মাধ্যমে কোনো প্রকার জামেলা ছাড়া আন্তর্জাতিক উপায়ে মার্কেটিং করার পাশাপাশি আপনার পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। তার জন্য আপনি শুধু বাংলা এক্সপোর্টস এর মাধ্যমে ফ্রি অথবা পেইড মেম্বার নিয়ে শুরু করতে পারেন। বাংলা এক্সপোর্টস সবসময় আপনার সাথে আছেন।

⭐বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের জয়যাত্রায়, দেশে গড়ে উঠছে আধুনিক কৃষি খামার, বস্ত্রশিল্প, মৎস্য শিল্প, চামড়া কারখানা, জুতা ফ্যাক্টরি আরো অনেক বিভিন্ন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিজ। এই জয়যাত্রায় আমরা নিয়ে আসছি বাংলাদেশি পণ্যের একমাত্র multi-vendor মার্কেটপ্লেস। ⭐

আপনার হাতে যদি টাকা থাকে আর বুদ্ধি বা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন তাহলে আপনি টাকা দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন না। আপনাকে একসাথে এই তিনটায় বিনিয়োগ করতে হবে।

এখন আসুন টাকা দিয়ে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন সে বিষয়েঃ

১. পতিত জমি লিজ নিয়ে ১২-১৫ বছরের জন্য গাছ লাগাতে পারেন।

২. এমন কিছু জমির পিছনে ইনভেস্ট করতে পারেন যে খানে ৩-৫ বছরের মধ্যে বসতি গড়ে উঠবে।

৩. খাদ্যের বাধায় ব্যবসা করতে পারেন। সিজনে কিনে সিজন শেষ হলে বেশি ধামে বিক্রি করতে পারেন।

৪. বিকাশ, রকেট, নগদ বা মোবাইল রিচার্জে ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন।

৫. ব্যাংক এ ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা রেখে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।

৬. সিজনাল ব্যাবসা করতে পারেন।

৭. সি-এনজি বা পন্য বাহী ট্রাক কিনে বাড়ায় চালাতে পারেন।

৮. এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যাবসা করতে পারেন। (সেটা হতে পারে ফল থেকে পোশাক আশাক)

৯. ঢাকার শহরে হাইচ বা প্রাইভেট কার কিনে কোন কোম্পানিতে বাড়ায় খাটাতে পারেন।

১০. কম মূল্যে বাড়ি বা জমি কিনে সময় সুযোগ বুঝে বেশি মূল্যে বিক্রয় করতে পারেন।

আরো হাজার রকমের আইডিয়ে আছে টাকা দিয়ে টাকা বানানোর। কিন্তু আপনাকে সৎ ও পরিশ্রমী হতে হবে। আপনার মাথার বুদ্ধি আছে, পকেটে টাকা আছে কিন্তু আপনি চোরাকারবারি বা মাদক বিক্রয় করলেন যেখানে কয়েকশ গুন বেশি টাকা, তাহলে আপনাকে একদিন ধরা পড়তেই হবে। কারন কথায় আছে,"চোরের দশদিন, গৃহস্থের একদিন"।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার সেরা উপায় গুলো

নিচে, আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করলাম, মাসিক ৫০ হাজার টাকা আয়ের সেরা উপায় বা পেশাগুলো সম্পর্কে।

১. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট:

সোশ্যাল মিডিয়াতে নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভবই হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর, এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো থেকেও কিন্তু অনেক টাকা রোজগার করা সম্ভব।

এক্ষেত্রে, আপনি নিজেকে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই আপনার উপার্জনের পরিমাণ নির্ধারিত হবে।

তবে, এক্ষেত্রে আপনার কতজন ক্লায়েন্ট রয়েছে, তার উপরেও কিন্তু আপনার আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে থাকে।

২. ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটার:

আপনার যদি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ থাকে ও ইংরেজি সহ যেকোনো আঞ্চলিক ভাষাতে আপনার শালীন ব্যাকরণ জ্ঞান ও দক্ষতা থাকে, তবে আপনি একজন ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।

বিভিন্ন কনটেন্ট এজেন্সী বা কোম্পানির দেওয়া পোস্ট থেকে আপনি কনটেন্ট রাইটিং কাজের জন্যে আবেদন করতেই পারেন।

অনেক প্রকাশনা সংস্থাও আছে, যারা বিভিন্ন লেখার ব্যাপারে পারদর্শী লেখকদের নিয়োগ করে থাকে।

আপনি আপনার পছন্দমতো নানান বিষয়, যেমন- রান্না, ভ্রমণ, ব্যবসা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি ও ইত্যাদি নিয়ে লিখতে পারেন।

আপনার প্রতিটা আর্টিকেলের জন্য অর্থপ্রদান কনটেন্ট অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।

যা গড়ে ১০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

সমস্ত ব্যাপারটাই ক্লায়েন্ট বা নিয়োগকর্তা ও রাইটারের লেখার দক্ষতার উপর নির্ভরশীল।

Verblio, ProBlogger-এর মতো কিছু ওয়েবসাইট আছে, যা কনটেন্ট লেখকদের তাদের হয়ে কনটেন্ট লেখার জন্যে আমন্ত্রণ জানায়।

এছাড়াও, আপনি নানান বিডিং সাইট, indeed বা linkdin-এর মতো সাইট থেকে ফ্রিল্যান্স কনটেন্ট রাইটিং জবের অপশনগুলোও দেখতে পারেন।

৩. অনলাইন রিসেলিং ব্যবসা:

সম্প্রতি অনলাইন রেসলিং বিজনেস হয়ে উঠেছে মানুষের বাড়ি বসে রোজগারের অন্যতম জনপ্রিয় একটা উপায়।

এখানে আপনাকে এক টাকাও বিনিয়োগ করতে হয় না।

অনলাইন রিসেলিং ব্যবসাকে অনেকেই তাদের টাকা রোজগারের অন্যতম প্রধান মাধ্যম করে নিয়েছে।

এই ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনাকে কেবলমাত্র নির্মাতা ও পাইকারী বিক্রেতাদের দ্বারা পরিচালিত হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেইসবুক গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত হতে হবে।

আর, আপনাকে তাদের জিনিসগুলোর প্রচার করতে হবে।

এরপরে, আপনাকে সেই পণ্যগুলোর উপর লাভের মার্জিন যোগ করে বিক্রি করার মাধ্যমে, প্রতি মাসে আপনার কাঙ্খিত অর্থ উপার্জন করতে হবে।

মিশো, কুইকার, পশওয়ার্ক, ওএলএক্স, আমাজন মার্কেটপ্লেসের মতো এরকম অনেক রেসলিং অ্যাপও আছে, যেখান থেকে আপনি সরাসরি প্রোডাক্ট কিনে আপনার পরিচিত সার্কলে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন।

আপনি পোশাক-আষাক থেকে শুরু করে গয়নাগাটি ও আরও অন্যান্য প্রোডাক্ট রিসেল করেও লাভ করতে পারেন।।

সঠিক কৌশল ও সঠিক ক্রেতাদের কাছে উপযুক্ত মূল্যে প্রোডাক্ট বেচলে আরও বেশি করে লাভ রাখতে পারবেন।

তবে, বেশি মার্জিনে পণ্য বিক্রি করতে থাকলে সেক্ষেত্রে আপনার ক্রেতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

নানা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনি রিসেলিং ব্যবসার প্রচার করতে পারেন।

এমনকি, এখানে হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

ভালো মানের পণ্য বিক্রি করলে, আপনি ভারত তথা আন্তর্জাতিক মার্কেটেও প্রোডাক্ট বিক্রির সুযোগ পেতে পারেন।

৪. প্রুফরিডিং বা সম্পাদনা:

যেকোনো ভাষায় ব্যাকরণ ও সৃজনশীলতায় পারদর্শী হলে, আপনি সম্পাদনা কিংবা প্রুফরিডিংকে পেশা হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন।

বিভিন্ন কন্টেন্ট রাইটিং সংস্থা, তাদের বিভাগের দ্বারা নির্মিত কন্টেন্টগুলোকে সংশোধন বা প্রুফরিড করার জন্য প্রুফরিডার বা সম্পাদকদের নিযুক্ত করে থাকেন।

এদের প্রধান কাজ থাকে লেখাগুলোকে সংশোধন ও সম্পাদন করে একেবারে নিখুঁত করে তোলা।

এই পেশাটি খুবই ভালো, কারণ এটি আপনাকে বাড়িতে বসেই কাজ করার স্বাধীনতা দেয়।

এমনকি, এই কাজের জন্য আপনাকে কোনো ধরণের বিনিয়োগে করারও দরকার পড়ে না।

কেবলমাত্র, বানান সংশোধন, বিরাম চিহ্ন, ব্যাকরণ সংশোধন করেই আপনি আপনার দৈনন্দিন ক্ষমতা অনুযায়ী অনেক বেশি রোজগার করতে পারেন।

৫. ইউটিউবার:

ফেসবুক ও অন্যান্য মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মতো ইউটিউবও হল এক ধরণের ব্যস্ততম প্ল্যাটফর্ম।

আমরা যা কিছু শিখতে চাই, তা বেশিরভাগ সময়ে ইউটিউব দেখেই শেখার চেষ্টা করি।

এমনকি, আপনি যদি কিছু সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরি করতে, রান্না করার মতো কোনো কাজে দক্ষ হন; তবে আপনি ইউটিউবের মাধ্যমে আপনার দক্ষতা প্রদর্শন করে সেখান থেকে উপার্জন শুরু করতে পারেন।

আপনি অনেক ইউটিউবারকে গ্যাজেট এবং টুল রিভিউ করতেও দেখে থাকতে পারেন।

আর, এর মাধ্যমে আপনিও তাদের মতো আয় করতে পারেন।

মূলত, তারা বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাজেট রিভিউ করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করে থাকেন।

আপনি যেকোনো বিষয়ে ভিডিও তৈরি করেও এখান থেকে রোজগার শুরু করতে পারেন।

আপনি যদি বিজ্ঞান, গণিত বা অন্য কোনো বিষয় সম্পর্কে দক্ষ হন, তাহলে আপনি সেইসব বিষয়েও ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করে আয় করতে পারেন।

এর জন্যে আপনাকে ভালো ক্যামেরা ও মোবাইল ব্যবহার করে ভিডিও রেকর্ড করতে হবে।

এছাড়াও, আপনি যদি ফটোগ্রাফি বা সম্পাদনার বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে একজন ইউটিউবার হিসেবে আপনার কাজগুলো আরও সহজ হয়ে উঠবে।

এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তির কাছেই উপার্জনের সেরা মাধ্যম হতে পারে।

এছাড়াও, আপনি যদি ইউটিউব থেকে টাকা রোজগার করতে চান, তাহলে আপনার ব্যবসা, পণ্য ও পরিষেবাগুলোকে এর মাধ্যমে প্রচার করতে, একে মার্কেটিং টুল হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।

আর, ইউটিউব হল এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে মাত্র কয়েকটা ক্লিকেই প্রচুর ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব।

এমনকি, এই ইউটিউব ভিডিও তৈরি করার জন্য আপনাকে কোনো দামী যন্ত্রপাতি বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে না।


একটি সফল ব্যবসায়িক গাইডলাইন, যা আপনাকে সফল ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। সফলতা নির্ভর করছে আপনার পরিশ্রম এবং ব্যবসায়িক পরিকল্পনার উপর।




Previous Post Next Post

Earning Sites

Contact Form